টিটিএন ডেস্ক:
একাত্তরের শকুনি ও পঁচাত্তরের হায়েনাদের বংশধরেরা দেশে এখনও সক্রিয় আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশ যখন নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, সে সময় স্বাধীনতা এবং উন্নয়নবিরোধী একটি গোষ্ঠী অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
মহান বিজয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এ ভাষণ শুরু হয়। বিটিভিসহ জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যমগুলোতে তার ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
বিজয় দিবসের প্রাক্কালে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিজয়ের ৫১ বছর পূর্ণ হলো। আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের দারিদ্র্য-ক্ষুধামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। পঁচাত্তরের পর ২৯ বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল এবং তারা দেশের সম্পদ লুটে-পুটে খেয়ে দেশটাকে খোকলা বানিয়েছিল।’
‘এখনও এদেশে একাত্তরের শকুনি এবং পঁচাত্তরের হায়েনাদের বংশধরেরা সক্রিয় আছে। সুযোগ পেলেই তারা দন্ত-নখর বসিয়ে দেশটাকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। সাধারণ মানুষ ভালো আছে দেখলে এদের গায়ে জ্বালা ধরে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠে। কিন্তু, বাংলাদেশের মানুষ এদের চিনে ফেলেছে। ষড়যন্ত্র করে আর তাদের বিভ্রান্ত করা যাবে না,’ যোগ করেন তিনি।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শপথ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন, এবারের বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সম্মিলিতভাবে শপথ নিই, সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব। একটি সুখী-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করব।’
সবশেষে সবার প্রতি আল্লাহর রহমত কামনা করে সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।