শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও:
ঈদের নামাজ আদায় করে প্রতিবেশী কয়েকটি ঘরে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে, যথারীতি মা বাবাকেও সালাম করেন। তবে আত্মীয় স্বজনের বাসায় যাওয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ঈদগাঁওয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ (৪৩)।
তিনি ঈদগাঁও উপজেলার মেহের ঘোনা এলাকার ছৈয়দ নুরের পুত্র এবং রামু উপজেলার নাদেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক। মৃত্যুকালে পিতা মাতা, স্ত্রী, কন্যা শিশুসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষী, সহপাঠী রেখে যান তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদের নামাজ পড়ে এসে যথারীতি মা বাবাকে সালাম ও প্রতিবেশী কয়েকটি ঘরে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঈদগাঁওস্থ একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে বেলা ১২ টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এদিকে সকলের প্রিয় শিক্ষক হারুন অর রশিদের আকষ্মিক মৃত্যুতে সর্বত্রে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। শিক্ষক হারুন অর রশিদ মাধ্যমিক শিক্ষক কল্যান পরিষদ ও স্থানীয় একটি ক্রীড়া সংগঠনসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।তার মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনলে উৎসুক জনতার ভীড় জমে।
মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর স্থানীয় মেহের ঘোনা ইউনুছিয়া মাদ্রাসার মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।