বিশেষ প্রতিবেদক:
২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিএনপি দলীয় ভাবে অংশ না নিলেও কক্সবাজারের কয়েকটি ইউনিয়নে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছে। বিএনপির সমর্থকদের বিজয়ী হওয়াকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখছেন সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা লুৎফর রহমান কাজল।
দলীয়ভাবে নির্বাচনে না গেলেও বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত অনেকেই অংশ নিয়েছেন গেলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। সদ্য সমাপ্ত এই নির্বাচনে কক্সবাজারের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৮ টিতেই ছিলো সাংগঠনিক ভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত প্রার্থী। এদের মধ্যে ২জন ছাড়া অন্যরা উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনে না যাওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত থাকলেও সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্তরা নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে কথা হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজলের সাথে। তিনি বলেন, স্থানীয় ও ব্যক্তিগত ভাবে অনেকে নির্বাচনে অংশ নিতেই পারেন। কিন্তু সেটি দলগত নয় তাই তারা কাউকে বহিস্কারও করেননি, আদরও করেননি।
বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করেনা উল্লেখ করে বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতা মনে করেন, সুষ্ঠু ধারার গণতন্ত্রের জন্য আওয়ামী লীগ বিএনপি সবাইকে একসাথে কাজ করা দরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুতুবদিয়ার ৬ ইউনিয়নের ৫ টিতেই ছিলো বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত প্রার্থী। এরমধ্যে ৩ টিতেই জয়লাভ করেন তারা। প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ফিরোজ খান চৌধুরী, লেমশিখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকতার হোসাইন, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি সৈয়দ আহমদ চৌধুরী, উপজেলার সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলাউদ্দিন আল আজাদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল আহমদ, বিএনপির সমর্থক আবদুল হালিম সিকদার। মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক চৌধুরী। যিনি হোয়ানক ইউনিয়নে নির্বাচন করেন। টেকনাফের সদর ইউনিয়নে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মো আব্দুল্লাহর আপন ছোট ভাই বিএনপির রাজনীতির সমর্থক জিয়াউর রহমান জিহাদ নির্বাচিত হন। পেকুয়ার টৈটং ইউনিয়নে নির্বাচন করেন উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী সদস্য মোসেলম উদ্দিন। ভোট সুষ্ঠ হয়েছে বলেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িতরা জিতেছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান বিএনপির অন্যান্য নেতারা।